ঢাকা , বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫ , ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​ভারতীয় নার্সের মৃত্যুদণ্ড ‘স্থগিত’, এখনও ক্ষমার চেষ্টায় পরিবার

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ১৫-০৭-২০২৫ ০৯:৫১:০৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৫-০৭-২০২৫ ০৯:৫১:০৫ অপরাহ্ন
​ভারতীয় নার্সের মৃত্যুদণ্ড ‘স্থগিত’, এখনও ক্ষমার চেষ্টায় পরিবার ​ফাইল ছবি
ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নার্স নিমিষা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে এখনও ভুক্তভোগীর পরিবার ক্ষমা করতে বা ‘রক্তমূল্য’ নিতে রাজি হয়নি।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ‘সেভ নিমিশা প্রিয় ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকশন কাউন্সিল'। খবর গালফ নিউজের। 

নিমিষা প্রিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে তার প্রাক্তন ব্যবসায়িক অংশীদার তালাল আবদো মাহদিকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। মাহদির খণ্ডবিখণ্ড দেহ একটি পানির ট্যাঙ্কে পাওয়া গিয়েছিল। এরপর নিমিষাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৩৪ বছর বয়সী নিমিষা বর্তমানে ইয়েমেনের রাজধানী সানার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন।

অভিযোগ ছিল, নিমিষা অতিরিক্ত মাত্রায় ঘুমের ওষুধ দিয়ে মাহদিকে হত্যা করেছেন। পরে তার দেহ খণ্ডবিখণ্ড করেছেন। যদিও নিমিষা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আদালতে তার আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন, মাহদি তাকে শারীরিক নির্যাতন করতেন। তার সব টাকা কেড়ে নিয়েছিলেন, পাসপোর্ট জব্দ করেছিলেন। এমনকি বন্দুক দিয়ে হুমকিও দিয়েছিলেন। নিমিষা শুধু তার পাসপোর্ট ফিরে পাওয়ার জন্য মাহদিকে অজ্ঞান করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ভুলবশত ওষুধের মাত্রা বেশি পড়ে গিয়েছিল।

২০২০ সালে একটি স্থানীয় আদালত নিমিষাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। তার পরিবার ইয়েমেনের সুপ্রিম কোর্টে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করলেও ২০২৩ সালে তাদের আপিল খারিজ হয়ে যায়। চলতি বছরের শুরুতে হুতি বিদ্রোহীদের সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মাহদি আল-মাশাত তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমোদন দেন।

ইয়েমেনের ইসলামিক বিচার ব্যবস্থা অনুযায়ী ভুক্তভোগীর পরিবারকে ‘দিয়াহ’ বা রক্তমূল্য প্রদান করে ক্ষমা লাভ করার একটি শেষ সুযোগ থাকে। নিমিষার আত্মীয়স্বজন ও সমর্থকরা মাহদির পরিবারকে ১ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা) রক্তমূল্য হিসেবে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। 'সেভ নিমিষা প্রিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকশন কাউন্সিল' গ্রুপ ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে এই অর্থ সংগ্রহ করছে।

কেরালার রাজ্যপাল রাজেন্দ্র ভি. আরলেকারও এই বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কেরালার একজন ধনী ব্যবসায়ী এম এ ইউসুফ আলীও নিমিশাকে বাঁচাতে যেকোনো আর্থিক সহায়তা দিতে রাজি হয়েছেন। এছাড়া কেরালার গ্র্যান্ড মুফতি কান্থাপুরম এ.পি. আবুবাকার মুসলিয়ারও ইয়েমেনের ‘শূরা কাউন্সিলে’ তার এক বন্ধুর মাধ্যমে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছেন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এইচবি/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ